Description
একেবারে কলার মতো আম। দূর থেকে দেখে মনে হবে আমগাছে সাগর কলা ঝুলছে। তবে ব্যানানা ম্যাঙ্গো গায়ে-গতরে মোটা। পাকলে সাগর কলার রূপ ধারণ করে। কলার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে অনেকের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। দেশের বিভিন্ন উদ্যানকেন্দ্র ও শৌখিন আমচাষীদের বাগানে এখন ব্যানানা আম শোভা পাচ্ছে। আর অভিনব এই আম দেখার জন্যে অনেকেই গাছের সামনে দাঁড়িয়ে থাকছে। মাগুরা উদ্যানকেন্দ্রের তিনটি গাছে ব্যানানা ম্যাঙ্গো ধরেছে। অনেকে এই আমের ছবি তুলছে। সাধারণত আম এক বছর ধরে এক বছর ধরে না। কিন্তু ব্যানানা ম্যাঙ্গো প্রতিবছরই ধরে। ফলনও হয় খুব। মাগুরা উদ্যানকেন্দ্রের ছোট ছোট তিনটি গাছে প্রতিটিতে ২০-২৫টি করে আম ধরেছে। এই আম একেবারে মৌসুমের শেষে পাকে। ইংল্যান্ড-আমেরিকায় এর খুবই কদর। অনেক দামে বিক্রি হয়। কিন্তু আমটি এদেশের নতুন অতিথি। থাইল্যান্ড থেকে বিমানে চেপে ব্যানানা ম্যাঙ্গো বাংলাদেশে এসেছে। ১০/১২ বছর আগে প্রথম এই আমের চারা নিয়ে আসেন উদ্যানতত্ত্ববিদ সঞ্চয় কুমার কয়েলদার। এরপর কৃষিবিদ এসএম কামরুজ্জামান বর্তমানে সমন্বিত মানসম্পন্ন উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক থাইল্যান্ড থেকে ব্যানানা ম্যাঙ্গোর বেশকিছু চারা নিয়ে আসেন। বংশবিস্তার করে বিভিন্ন উদ্যানকেন্দ্রের মাধ্যমে তিনি মাঠ পর্যায়ের আগ্রহী কৃষকদের মাধ্যমে ব্যানানা ম্যাঙ্গো ছড়িয়ে দেন।
ব্যানানা আমের বৈশিষ্ট্য
- আমটি দেখতে যেমন বাহারি, খেতেও সুন্দর
- পাতলা খোসা
- চিকন আঁঠি
- মিষ্টতার পরিমাণ ২০ শতাংশ
- ফলনও খুব ভালো হয়
- এই আম একেবারে মৌসুমের শেষে পাকে
Reviews
There are no reviews yet.